শুক্রবার, ১ মে, ২০১৫

অপরাহ্ণ সুসমিতো

অপরাহ্ণ সুসমিতো




দু:খ দেখতে একদম ছোট্ট বালক বা বালিকার মতো
বাবার হাত ধরে বড় রাস্তাটি পাড় হয় কিংবা বাতি নিভে গেলে মার গা ঘেষে
বসে বসে ভাবে কবে বড় হবে আলাদিনের গল্পের মতো ।

কোনো কোনো দিন কতো আগে দেখা অ্যালবামের ধূসর ছবির মতো
রাত জাগা দূর পাল্লার রাস্তার মতো এঁকেবেঁকে নিরীহ সরীসৃপ
বুক ঘষে চেনা বালুচর পথ, রান্না দুধের সরের মতো হাত পা ছড়িয়ে থির হয়ে থাকে ।

ব্রীজটার রেলিংয়ে দু:খ বালিকাটা দাঁতে নখ কাটে, উড়ু চুলে ক্লিপ আঁটে
স্কুলের ব্যাগে ভরে নেয় হোমওয়ার্ক, ডিমের পুডিং, বৃষ্টিতে জুতো ভিজে গেছে বলে
থপথপ করে হাঁটে, সমাজ বিজ্ঞান ম্যাডামের মতো রাগ রাগ আদর মুখ ।

দূর পাল্লার ট্রেন থেকে দু:খ নামে ভীড় স্টেশনে
প্রায় গায়ে লেগে থাকা যাত্রীর মতো লাগেজ হাতে নিয়ে কুলি কুলি বলে ডাকে
তাকে ক্লান্ত যাত্রী লাগে, বোতল থেকে চুমুক করে পানি খায়,
ট্যাক্সি চড়েই বলে : চলুন শান্তি শহর ।

নৌকার পাটাতনে বসে থাকে ঝুমঝুম দু:খ বালক, নদীর সারেঙ রোদে ফারুক
পিটপিট চোখের পাতা কবরী
গাঙে ভাসে গ্রামের অভাব, গুড়ো দুধের ক্যালেন্ডারের পাতা
সুহাসিনী লাক্স সাবান । ভাইয়ের কষ্টে বোনের জল পিয়ানো ..

আবার আসবো বলে দু:খ চলে যায়, সিলেটের পাহাড়ে বাবার বিলিকাটা চুলে
জীবনের রঙ নিরাকার বলে খাবার পানি হয়ে কাজলে কাজলে গেলাসে

নারকেল পাতার ছায়ায় সবুজ হয়ে থাকুক জীবনের সমান
ও দু:খ
সিনড্রেলার মতো সুন্দর দু:খ এতো ভালো বাবু যে
কান্না করতেই জানে না । একদম না ।












এবং একুশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন