বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

জয়া চৌধুরী





জয়ী
জয়া চৌধুরী




তুমি যদি ভালবাসি ভাব
তাহলে তোমাকে প্রস্তুত থাকতে হবে প্রতি শ্বাসে।
যে কোন ক্যাবিনেট পদের চাকরির পরীক্ষার চেয়েও
ঢের বেশি অনিশ্চিত তোমার এই যাত্রা
বরং তোমার সব কিছুই যাত্রা বলেও ভাবতে পারে
তোমার প্রিয় মানুষটি যাকে তুমি ছায়া কিংবা
নিজে বলেই ভাবতে শুরু করেছ। কেননা ভালবাসার
কোন প্রমাণ বা শংসাপত্রই দেবার ব্যবস্থা নেই।
ধরো যদি বৃষ্টির দিনে তার জন্য গরম চপ কিংবা প্রিয়ার
ওপরের হলে একটা জম্পেশ সিটে বসিয়ে ভাবলে
বেশ খানিক রোম্যান্স করা গেল সে গুড়ে কফি অসম্ভব।
যদি তাকে খুব জ্বরে জোর করে ওষুধ গেলাও
সে তখন রেগে গেলেও মনে মনে খুশি হবে হয়তো তবে
তাহলেই যে তোমার ভালোবাসা হলমার্ক 
পেয়ে যাবে তার কোন ঠিক নেই। 
নাহয় তাকে গার্জেন কিংবা বসের
শাস্তি থেকে বাঁচিয়েছ তাই বলে সে তোমাকে 
বন্ধু ভাবতে পারে কিন্তু ভালোবাসা! 
মাঝরাতে তুমি যদি তার বুকে পেটে নাক ঠেকিয়ে 
গভীর শ্বাস নাও কিংবা ভোর ভোর ইশ্বরের 
জন্য গান করো যার সঙ্গে কবিতার প্রত্যক্ষ যোগ নেই
তাহলে তো তোমার প্রেমের সীমাবদ্ধতা প্রমাণিত।
এই মুহূর্তে সে বুঝে গেছে যে তুমি একটি 
ঈশ্বর ভীরু গিড়গিড়ানি করা পাবলিক যার
দৌড় বা কায়দা বাজী হলো একটু স্পেশাল-
ভগবানবাজী। তবে তুমি নিজে এগুলো কেন করো জানো?
কারণ তুমি নিজে জানো সে তোমাকে কতখানি দিয়েছে
তোমাকে সে খাইয়েছে পরিয়েছে আদর করেছে
তোমার গায়ে এতটুকু ব্যাথা সে দেয় নি কখনো
রাস্তায়, লোকের মাঝে, নির্জনে, সে শুধু তোমাকেই প্রিয় জেনেছে
হ্যাঁ তাকে কেউ চাইলে সে হয়ত মস্করা করেছে কিন্তু
তুমি তো বুঝদার মানুষ এবং বেশ উদারও
একথা তোমার চেয়ে বেশি কেউ জানে না তার 
মন আর তার নেই। ওটা তোমার কাছেই দেওয়া
এটুকু জানা থাকলেই তো যথেষ্ট বলো। আর কেন তাকে
রোজ প্রমাণ দিতে হবে সে কতটা পাগল তোমার জন্য!
প্রমাণ চিরকাল জানকীরই কাজ জাননা?
জানকী বল্লভেরা 
চিরকাল ঠিক চিরকাল পূজ্য চিরকাল আরাধ্যই থেকে যান মূর্খ !













এবং একুশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন