সোমবার, ১ আগস্ট, ২০১৬

অনাদি চক্রবর্তী




গাঁয়ের পথে
অনাদি চক্রবর্তী


পথগুলো কি তেমনি আছে
তেমনি আঁকাবাঁকা,
দু'ধারেতে ধানের মাঝে
ধূসর রঙে আঁকা।
আল পেরিয়ে যখন আমি
গাঁয়ের পথে যাব,
গ্রাম ছাড়া সেই রাঙামাটির
পথ কি আবার পাব!
রাঙামাটির পথটি ধরে
গাঁয়ের পথে যেতে,
আম-কাঁঠালের গন্ধেতে কি
উঠবে পরাণ মেতে!
গাঁয়ের মাঝে শুনতে পাব
উঠছে কোলাহল,
ধূলার পরে করছে খেলা
ন্যাংটো শিশুর দল
দল বেঁধে কি পুকুর ঘাটে
গাঁয়ের বৌয়ে ঝিয়ে,
তেমনি করে বাসন মাজে
ঘোমটা মাথায় দিয়ে?
পদ্মফোটা পদ্ম দিঘী
তারই ফাঁকে ফাঁকে,
পানকৌড়ি ঘুরে বেড়ায়
সোনালি রোদ মেখে।
গাছের ডালে মাছরাঙাটি
চুপটি করে বসে,
পুকুর পানে চেয়ে থাকে
মাছ ধরবার আশে।
রঙ-বেরঙয়ের প্রজাপতি
ফড়িং ঘাষে ঘাষে,
সন্ধ্যাবেলা জোনাকীরা
প্রদীপ হাতে আসে।
গাঁয়ের শেষে আছে কি সেই
ভগ্ন কুটিরখানি,
যে ঘরেতে থাকত সুখে
রাজার দুয়োরাণী।
মেঘ বরণ কন্যাটি তার
কুঁচ বরণ চুল,
আঙিনাতে ডালে ডালে
চম্পা-চাঁপা ফুল।
এখনও কি পরাণ কাঁদে
কাজলা দিদির তরে,
বাঁশ বাগানের মাথার উপর
চাঁদ উঠলে পরে।


যদি বলো এসব কিছুই
দেখতে আজও পাবো,
তাহলে আবার আমি
তোমার গাঁয়ে যাবো।
পানের বরজ থেকে না হয়
এক জোড়া পান নিয়ে,
চেয়ে নেব পান-সুপারি
তোমার বাড়ি গিয়ে।








এবং একুশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন