তিয়াসা কে ছুঁয়ে
অসিত বরণ চট্টোপাধ্যায়
তিয়াসা কে ছুঁয়ে সারারাত,
স্বপ্নে অথবা দুঃস্বপ্নে অবিরাম
এবং বহুক্ষণ---
মাংসল বুকের উপত্যকায় যাযাবরী হাত,
আমি তো চিনি শরীরের অলিগলি তস্যগলি,
হৈমন্তী সুঘ্রাণ অথবা মরুভূমির তপ্তবালি।
তোমার তুমিত্বে আমার অনন্ত পিপাসা,
তোমার সুঘ্রাণে তুমি অন্তর্লীনা তিয়াসা।
দুর্বোধ্য গহন আঁধারে তুমি দুরাশা,
'যদি', 'কিন্তু' 'সুতরাং' এ সব হারানোর নেশা।
শিশিরের শব্দে পেয়েছি তোমায়
শুনেছি নূপুর নিক্কন হৈমন্তী অঘ্রাণে,
দেখেছি পৌষালী গাঢ় কুয়াশায়,
বসন্তে দিয়েছো সাড়া নীরব আমন্ত্রণে।
এবং বিষণ্ণ বিকেলে---
অথবা রাত্রি প্রসবা গোধূলি কিরণে
সেই এলে,..
বিকেলে ভোরের ফুল হয়ে
দহনের তীব্র জ্বালা নিয়ে,
কালবোশেখীর তীব্র আশ্লেষে
ফোঁটায় ফোঁটায় ভাসিয়ে দিলে দুকূল।
এখনও রাত বাকি, অনন্ত পিপাসা
ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা
আষাঢ়ের বৃষ্টি হয়ে ঝরো
মেটাও দহন জ্বালা।
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন