বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬

সম্পাদকীয়

প্রকাশিত হলো 'এবং একুশ' ডিসেম্বর, ২০১৬ সংখ্যা।

এই সংখ্যার নির্বাচিত কবিরা হলেন
চয়ন
সুধাংশু চক্রবর্তী
শর্মিষ্ঠা নাহা
নীল রতন চক্রবর্তী
গৌতম দত্ত
আরশাদ উল্লাহ্‌
শিখা কর্মকার
দেবীস্মিতা দেব
ঋতব্রত
উত্তম বিশ্বাস
রুবি মুখার্জী
পিয়ালী বসু ঘোষ
কাজী এনামুল হক
কেয়া রায়
মমতা দাস
শৌনক দত্ত
স্মৃতি
অনুপম দত্ত
অলভ্য ঘোষ
সিয়ামুল হায়াত সৈকত
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী

চয়ন

ছি!
চয়ন
পুরীষদহে ডুবকি দিয়ে শান্তি মেলে,
আস্থা খুঁজি লাল গড়ানো ইতরমুখে --
মরুগ্গে যাক মান খোঁজা সব বেয়াক্কেলে;
নাক টিপে আর চোখ বুজে ঠিক থাকব সুখে।

সুধাংশু চক্রবর্তী

বিষণ্ণ কবিকে 
সুধাংশু চক্রবর্তী
চারপাশ দিয়ে কতশত অগণ্য পথিক হেঁটে যায়
এই নিঃসঙ্গ জীবন কাকে যেন ফিরে পেতে চায় ।
এ কোন শূণ্যতাকে সঙ্গী করে কাটছে বন্দী পরবাস
নিজের সাথেও দেখা যে হয় না কত শত মাস।

শর্মিষ্ঠা নাহা

দেব চরিত্র
শর্মিষ্ঠা নাহা
জননিপীড়ন মোর ধ্যান- জ্ঞান,
বলি 'ভগবান' পূজে তবু লোক।
সব অন্যায় ন্যায় হয়ে যায়,
যদি করা যায়
রেখে চোখে চোখ।

নীল রতন চক্রবর্তী

বিশ্বাস 
নীল রতন চক্রবর্তী 
আমার জামায় , শত ছিদ্র 
আমি শীতের এই প্রহরে
আগুন্তক হিমাংকের স্পর্শে
ভেঙ্গে টুকরো হতেই পারি .

গৌতম দত্ত

শালুকডাঁটা—
গৌতম দত্ত

গাজলডোবার জলে শালুকের ডাঁটা আমি অনেক দেখেছি—,
অবিকল তোমার আঙুল।
হাজারে হাজারে ফুল ফুটে আছে তোমার আঙুলে।
নরম, পেলব, লাবণ্য এমন কতকিছু বিশেষণ আমি
ব্যবহার করতেই পারি। এমন হাল্কা যে উত্তুরে হাওয়ায় হাওয়ায়
কেঁপে কেঁপে ওঠে, তিরতিরে জলের ওপর।

আরশাদ উল্লাহ্‌

সময় এসেছে
আরশাদ উল্লাহ্‌


মহাশূন্যের অজানা কোন নক্ষত্র থেকে
বিচ্ছিন্ন উল্কার মতোই আলোকের বেগে
ছুটে এসে পড়েছিলাম অকস্মাৎ
তুমি আর আমি শিশিরের মতো,
কোন একদিন এ পৃথিবীর বুকে!

শিখা কর্মকার




সেদিন ছিল আসার কথা তোমার 
শিখা কর্মকার

আঙ্গুলেতে বাজনা ছিল, গলার ভেতর গান
হাতের মধ্যে ভরা ছিল নরম আদর-কনা,
বুকের মধ্যে কষ্ট ছিল মাদুর পেতে বসে
থিতিয়ে গিয়েছিল সেদিন সকল কল্পনা ।

দেবীস্মিতা দেব

সাপ-লুডো
দেবীস্মিতা দেব


জীবনটা হলো,
জাস্ট একটা সাপ-লুডো।
আমরা প্রত্যেকে ওতে –
একেকটা রঙবেরঙের
গুটি মাত্র।




এবং একুশ

ঋতব্রত



উত্থিষ্টিত, অধীনত, নির্গত, সঙ্গত
(Translated from Over, Under, Through, With by Noelle Kocot)

(এরিক মারিয়া রিলকে-র জন্য)

ঋতব্রত



তুমি আর তুমি ছাড়া বাকি সবকিছুর মধ্যকার এক অজ্ঞ অবস্থা, একটি অণুর উপস্থিতিকে,
আঘাত না লাগে যাতে
নরম চোখ দিয়ে দেখব বলে
সযত্নে তুলে ধরি আলোয়,
তারই নিছনি তার মুগ্ধতা নিয়ে
নিষ্পাপ মুখখানি,
ক্ষণস্থায়ী পদ্মপাতার জল,
তবু অতি যত্নে পালন করে রাখি কাব্যভর।

উত্তম বিশ্বাস

আরোপিত সাম্যবাদ এবং প্রথাগত বিপ্লব
উত্তম বিশ্বাস

ওভেনে গনগনে অবৈধ খাদান
হাঁড়িটার কানা ছুঁয়ে সরপুরু দুধ ,
হঠাৎ নোটিশ এল মুদিখানা থেকে
আক্রোশে ফাটে হাঁড়ি ফ্যানা বুদবুদ !
তুমি খাবে মাছটুকু, ম্যাও খাবে কাঁটা ,
সন্ন্যাসী হলে খাবে সজনের ডাঁটা !


এবং একুশ

রুবি মুখার্জী

বিশ্লেষণ
রুবি মুখার্জী


সব কথার বিশ্লেষণ আমি চাই না,
হৃদয়ে গড়ে তোলা কিছু অনুভব-
সেজে ওঠে আপন মহিমায়
তার প্রকাশ চাই তার মত করেই..
মৃদু... স্নিগ্ধ... অথচ যুক্তি গ্রাহ্য ..
এই অস্পষ্ট স্পষ্টবাদিতাই আমার পছন্দ. !

পিয়ালী বসু ঘোষ

অমরাবতীর চাঁদ
পিয়ালী বসু ঘোষ


উভচর জীবন আমার
ডাঙায় বাঁচি
জলে ভাসি
কখনও একা, পরিপাটি
কখনও পিচ্ছিল পথে গুটিপোকার সাথী

কাজী এনামুল হক

চাঁদের আয়নায় খুঁজি চাঁদমুখ
কাজী এনামুল হক


খুব বেশী দূর নয়,
এ পাড়া আর ও পাড়া; মাঝখানে কয়েকটা অলিগলি,
রিক্সা-ভ্যানের ঠুং-ঠাং টেম্পু বা প্রাইভেট গাড়ীর হর্ণ
ইটের খোয়া, সিমেন্টের বস্তা।

কেয়া রায়

সুখের ঘরের চাবিকাঠি
কেয়া রায়


সুখটাকে কুক্ষীগত করতে বড় ইচ্ছা হয় |
তারপর সেই সঞ্চয় থেকে কতিপয় প্রিয়জনকে,
দিই যদি অল্প অল্প করে, তাদের প্রয়োজন মতো,
তবে কেমন হয়?

মমতা দাস

গল্পের মত - পুরুষের সংলাপ
মমতা দাস

কথা হয়েছিল দেখা হবে ,
উড়ো উড়ো কথা, স্থিরতা ছিল না
বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি তাই।
ডাক যখন এলো 'স্টেশনে থেকে,কেউ আসবে'

শৌনক দত্ত

রানাঘাট লোকাল
শৌনক দত্ত

সে ভীষণ দারুণ সময়-
মুখরতার কার্নিশে এসে
কথা বলছে খৃষ্টপূর্ব কন্ঠস্বর!

স্মৃতি

স্বাহা
স্মৃতি



স্মৃতিরাও মাঝে মাঝে বোঝা হয়ে ভাবে
গ্রহ বা তারার মনে কিছু রেখে দিয়ে
কতটা রাখবে তার হৃদি ভাসা জলে..
এর মধ্যে যদি ঘটে যায় দু একটা দাবানল

অনুপম দত্ত


নীড়
অনুপম দত্ত
ঘর পেরিয়ে উঠোন আর উঠোনজোড়া রোদ
শাড়ির ভাঁজে মিশে থাকা নরম অনুযোগ
হলুদমাখা আঁচল আর ছোট্ট একটা ঘর
স্বপ্নরা সব খেলা করে চৌকাঠ বরাবর

অলভ্য ঘোষ

চাষা ও ক্ষেত
অলভ্য ঘোষ


আমি চাষা তুমি ক্ষেত;নেই তাতে কোন আক্ষেপ।
আমার ঠোটের চুমুতে চুমুতে দেখছি তোমার রুক্ষ ভূমিতে
ফলেছে কত ফসল।

সিয়ামুল হায়াত সৈকত

কবি ও কবিতা
সিয়ামুল হায়াত সৈকত


প্রেমিকার জন্য আমার হৃদয় সর্বস্ব
বোকা দেয়ালের চিত্রপট চারকোণা,
ফিতায়; ভাঁজে–লুকোনো মনের ঘর
বিস্মৃতির চাঁদ চাঁদ খেলায় বৃহস্পতি!

ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী

তুমি অনন্যা
ত্রিভুবন জিৎ মুখার্জী




চাঁদ তোমায় দেখে মুখ লুকোয় মেঘের আড়ালে
বাতাস তোমার সুবাসে মাতোয়ারা
ফুল তোমার আগমনী বার্তা আনে
আকাশ থেকে পুষ্প বৃষ্টি ঝরে
নদী গায় তোমার রূপের গান
তুমি অনন্যা তুমি মন কর মাতোয়ারা।