পরিচয়
সপ্তর্ষি মাজি
কে তুমি তরুণী?
চিনিনা তোমায় আমি, তবু যেন কতদিনের
চেনা,
দেখেছি তোমায় আমি বারবার।
সেই আদিম গুহাজীবনে
চকমকি আগুনে দেখেছিলাম প্রথম তোমার মুখ।
আবিষ্কারের আনন্দে আমি তখন আত্মহারা।
তুমি তাকিয়ে ছিলে ধীর ভীরু চক্ষে।
আমি হেসে উঠতেই তুমি যে সেই কোথায় ছুটে পালালে!
তারপর;
ব্যাবিলনের শহর।
ঝুলন্ত উদ্যানের অপ্সরা ছিলে তুমি।
মনে আছে তোমার?
আমি তখন গ্রীসের মেষপালক।
তুমি প্রত্যহ মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে দেখতে আমায়।
ঝরনার ধারে জল ভরতে ভরতে, যেতে-আসতে।
পারস্য উপসাগরের তীরে পরাজিত সৈন্যদের দলে,-
সেখানেও আমি ছিলাম, হাঁটু গেঁড়ে
বসে।
তুমিই দিয়েছিলে আমায় এক আঁজলা জল।
তারপর একদিন প্যারিসের রাস্তায়
তুমি আমার দিকে তাকিয়েছিলে একটু লাজুক চোখে,
একটু হেসেওছিলে তুমি। আর আমি রাস্তা ভুল করে
ঢুকে গিয়েছিলাম অন্য গলির ভিতর।
আজ তুমি ইউফ্রেটিসের ধারে
এসেছিলে ঘোড়ায় চড়ে,
তারপর ঘোড়াটাকে গাছের গোড়ায় বেঁধে
এখন কি আকাশ দেখছ তুমি?
কী দেখছ তুমি তরুণী? কাকে খুঁজছ
তুমি অমন করে?
বরং ভাসিয়ে দিও একখণ্ড প্যাপাইরাসের টুকরো,
তাতে লিখে দিও তোমার পরিচয়;
আমিও ভাসিয়ে দেব নৌকো মন্দাকীনি স্রোতে।
ভালোবাসার কোনো ভাষা হয় না,-
আমরা একদিন ঠিক জেনে যাব আমাদের পরিচয়,
নক্ষত্রের সঙ্কেতলিপি পড়ে তোমায় আমি খুঁজে নেব ঠিক
একদিন।।
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন