শুঁড়িখানায় সুখে আছি
শ্যমল সোম
সবাই কেমন আজ খোলা বাজারে, একে অন্যকে পিছনে ফেলে,
সময়ের তালে তালে সাবধানে পা ফেলে, একে তাকে পেছন
থেকে ধাঁই করে ল্যাং মেরে, খুব ছক কষে, সতর্ক হয়ে বসে,
ঘন ঘন মাথা নেড়ে, অনেক ভেবে চিন্তে ধীরে সুস্থে, ঘুষের-
পয়সায় বিদেশী মাল-- টেনে, হেসে হাসিয়ে, যুবতী ললনাকে
ফাঁসিয়ে, ভারি মস্তিতে, দাঁও বুঝে ঝপাং করে কোপ মেরে,
একে তাকে ধাক্কা দিয়ে, ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে তড়-তড়িয়ে,
কত রকম কেয়াবত-করসত - ক্যারামতি দেখিয়ে- ঐ উঁচু -
মগ ডালে উঠে গেল; সহবতই চাঁদ হাতে ধরা দিলো।
সুখের প্রাণ গড়ের মা ঠ, আহ্লাদে আটখানা, ফানুসের মতো-
ফন ফন উড়ছে, অনাদায়ে রইলো পড়ে সব জরিমানা।
এক আমিই হাবা গোবা হয়ে- আকাশের দিকে চেয়ে, সাগরের
ঢেউ গুনে, পাহাড় ঝর্না নদীর অথৈ জলে পড়ে রইলাম নিরবধি,
ঠায় অপেক্ষায় আছি; দিন পালটায় কখন ? আজ বাদ্ধ্বর্কের চৌকাঠে
এসে থমকে থেমে দাঁড়িয়ে, আপন যা ছিলো সব হারিয়ে- ঠোঁ ট উলটিয়ে,
ফোকলা দাঁত কেলিয়ে-চশমার আড়ালে, ছানি পড়া আড় চোখে চেয়ে-
আসমানের সিঁড়িটা আবার দুলতে দেখে,-গুঁ ড়ি গুঁড়ি বৃষ্ঠির ঝাপটা রহে-
সহে, আশপাশে এদিক ওদিক চেয়ে, সু ড় সুড়িয়ে সটাং ঢুকি গিয়ে সেই -
খালাসী টোলার শুঁড়ি খানায়। তোমরা কেউ আমার সঙ্গে আসবে নাকি ?
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন