দোলপুরাণ
রণদেব দাশগুপ্ত
কেমন করে বেঁধেছ এই হাত
নিয়েও আমি নিঃস্ব আকাশ একা
অদৃশ্য কোন্ ছুরির আঘাত লাগে
দর্পণে সেই রক্ত ছুঁয়ে দ্যাখা
ঘোর লাগানো সাতরঙা উত্সবে
নীরবে এই অনন্ত যন্ত্রণা
আবীর জানে জ্যোত্স্নামাখা নেশা
ফাগুন জানে , সকলে অন্ধ না
রঙের ঢেউয়ে বান ডেকেছে বলে
সাঁতার তোমায় দিতেই হবে বুঝি ?
নীরক্ত এই পত্রাবলী বোঝে
ক্ষুধার বানান রুটি এবং রুজি
দরজা কোনো খোলে না আজকাল
প্রাণের 'পরে স্বার্থমুখর দিন
আগুন জ্বলে মুখলুকোনো বনে
লোভের ঘুড়ি একান্তে উড্ডীন
পলাশ শিমূল অশোক ভালোবাসা
ঋতুর মাঝে শ্বদন্ত দেয় উঁকি
বাসন্তী রং দেয় না জীবন খুঁজে
তোমায় ভোলায় প্রকান্ড বুজরুকি
তবুও এই তাসের দেশেই বাঁচো
নিয়মমতে চলো সঠিক মাপে
কারা যেন ওপরতলায় বসে
হিসাব মেলায় নিখুঁত খাপে খাপে
তরঙ্গ তার আসঙ্গ উল্লাসে
যদি ডাকে দু'হাত মেলে দিয়ে
তখন বলি , এমন বেঁধেছ যে
নিঃস্ব হলাম সকলটুকু নিয়ে ||
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন