মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

পূর্ণচন্দ্র বিশ্বাস

খাবারের সন্ধানে পাখি 
পূর্ণচন্দ্র বিশ্বাস




সেই কবে থেকে -
সকাল দুপুর কিম্বা বিকাল ;
কি চঞ্চল -
উৎকণ্ঠা বুকে নিয়ে !
সংকীর্ণ সরু গলি
ময়লা আবর্জনা ঘেঁটে চলি ,
উলটে পালটে দেখি আঁস্তাকুড় ।
কোন কীট-পতঙ্গ ,
অথবা খাবারের কনাটুকু
পাই যদি ।
শিশু আমার আছে অনাহারে !
কেউ কেউ বলে ছোট ছানা ,
পাখি হলে উড়ে যাবে ,
আর ফিরে আসবে না -
আমার কোলে আমার নীড়ে ।
তাই বা হলে -
কী যায় আসে ?
সরকার পাড়ার শান বাঁধানো ঘাটে -
তোমাদের উঠানের পাইদোরে -
কত ঘোরা ঘুরি কত দিন করি ।
তোমাদের দুষ্টু সোনার আধ খাওয়া ;
বিস্কুটের গন্ধে উড়ে উড়ে আসি । 
আবার উড়ে যাই এক নিমেষে ;
আবার ফিরে আসি অতি সন্তর্পনে ।
চাল ঝাড়া খুদ-কুঁড়ো -
হাঁড়ি কুড়ানো ভাত পাই যদি ;
মহানন্দে ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ লাফাই ।
ঘুম নেই দুচোখে -
ডানা গুলি ক্লান্তিহীন !
রাশি রাশি নলেন গুড়ের মোয়া ;
প্লাষ্টিকে ঢাকা ।
নেব কি করে ?
পেনসিলের মতো সরু ঠোঁট ।
শকুনের সজাগ পাহারা ;
মুহুর্মুহু টিনের আওয়াজ -
হৃৎপিণ্ড ভয়ে চৌচির ।
তোমাদের ছোট ছেলে মেয়ে খেলে -
হাসি আর উল্লাসে ।
তবু হাতে কেন ইঁট পাটকেল ?
সাবধানে হোক কিম্বা অজান্তে -
যদি ছোঁড়ে ?
লাগে গায়ে ।
পালকের নিচে খত ;
পড়ে থাকে চিরকাল ।
কোন হাতের নরম ছোঁয়া ;
লাগবে না বুকে ।
মাছরাঙা-বক শঙ্খচিল ,
শালিখ-ঘুঘু-পেঁচা-চিল
ছোট পাখি-বড় পাখি
চল সব ওই দেখ -
শীত আসছে -
এখনই শুকিয়ে যাবে খাল বিল ।

















এবং একুশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন