আদম
সুমিত নাগ
গভীর রাত
ঘুম থেকে জেগে উঠল ভামবেড়াল।
দুর্গন্ধ গা।
পেরিয়ে এলো বুদবুদ ওঠা নর্দমা,
টিনের চাল পেরিয়ে
মুখ তুলে তাকাল ওপরে।
ল্যাম্পপোস্টের তারে চাঁদ আটকে আছে,
হিম জমছে, ছেঁড়া প্লাস্টিক উড়ছে;
জ্যোৎস্নায় চকচক করছে মেঘ,
স্লেট পাথরের আকাশ
ঝকঝক করছে তার চোখ, তারা-
মণিতে মিলনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা
এবং
নিষিদ্ধ এই মিলন
অতিপ্রাকৃত আনন্দে ভাগ নেই তার
তুমি স্বর্গ থেকে নির্বাসিত
তোমার নাম দিলাম আদম
এই অলৌকিক রাতে তুমিই একমাত্র পার্থিব
আমি তোমার দুঃখ বুঝি।
অর্ঘ্য
ঘরের রঙ নীল পেরিয়ে যাই দুই পাড়
ঘরের নাম রাত, দেখছি যাযা না দেখার।
যুদ্ধে বড় বেশি ক্লান্ত; শরীরের ক্ষুধা
মেটাতে পারল না বিজিত জমি, নারী, সুধা।
শেষের শুরু তাই যেমন নেই, নেই তার
জানা তরবারি রক্ত ঝরিয়েছে কার।
কেবল জানা গেল এভাবে জ্বলেছে আগুন
আপনাআপনি বা আবেল হয়েছিল খুন
কেনের হাতে যবে, আজকে নয় শুরুয়াৎ;
গান্ধী, হিটলার, ভারত-পাক সংঘাত
টুইন টাওয়ার ঘোষিত মার্কিন নীতি
লাদেন, সন্ত্রাস উর্দিবাহী সম্প্রীতি
নির্দ্বিধায় ঝেড়ে সহজে ফেলে দিতে পারি
এমন যুক্তিতে- আমরা পোড়াইনি বাড়ী
বা লাশ কারো আগে সেদিন বহু আগে গত;
মেলাতে সব তাই হয়েছি নিয়ত প্রণত
সে আদি ও মহান হত্যাকারীটিরই পায়ে;
কাগজে দেখলাম নেতাকে নামাবলী গায়ে।
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন