গুচ্ছ কবিতা
প্রতীক ঘোষ
১.আকাশ ও সে
অফিস থেকে ফিরে
চার মিনিট এর রাস্তা তাকে হেঁটে আসতে হয়
এই চার মিনিট এর রাস্তাই
তার সাথে আকাশের কথা দেখা করার সময়।
অফিসে ঢোকার সময় থেকে বেরোনোর সময়
আকাশের রঙ পালটে যায়।
সে চশমার উপরে লেগে থাকা বাষ্প মুছে
আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসে
আকাশ কি ক্লান্ত,কতোদিন ঘাড় নিচু করে বেঁচক আছে অমানুষ এর মতো।
একটা চুয়াল্লিশ নম্বর বাস চলে গেলে
তার মনে হয় এ জীবন চাই না।
পরের চুয়াল্লিশ এর বাসে
সে দরজায় পা রাখার জায়গা পায়।
বাস এই জীবন না চাওয়া মানুষ দের
ভিড় নিয়ে এগিয়ে যায়
দশ ফুট বাই দশ ফুট এর গন্তব্যে।
এরপর আকাশ মিটি মিটি তারায়
তার দিকে তাকিয়ে
পাঁজর ফাটিয়ে হাসে।
২. আমাদের এই জন্ম
সকাল থেকে লেবু পাতা গুলো
নরম হাওয়ায় দুলছে।
এরপর,
মানুষের ছায়ার দৈর্ঘ্য ছোট হতে থাকে।
ঘেমে ঘেমে গলে নিঃশেষ হয় দায়িত্ববোধ।
#
এখন কাঠবিড়ালির মতো দ্রুত সন্ধে নামছে।
লেবুপাতার দুলুনি থামে না।
#
মানুষ কখনোও ফুলের জন্ম পাবে না।
৩. সংসার
একদিন বিকেল বেলা আমি
বাগানে ফুল কুড়োতে কুড়োতে
ঘুমিয়ে পড়েছিলাম
চোখ লেগে গেছিল আরকি
ঘুম ভাঙতে দেখি আমি
আর উঠতে পারছি না।
#
জানি না কখন আমার পিঠের উপর
কেউ একটা বাগান চাপিয়ে দিয়ে গেছে
সেই বাগানে দুটো পাখি থাকে
#
তারা গান গায়
বাসা বাঁধে।
#
আমি তাদের আর কোনোদিন ছুঁয়ে দেখতে পারি না
#
আমার পিঠের উর্বরতায়
ফলন্ত সংসার দেখি
#
সূর্যাস্ত অব্দি।
এবং একুশ
প্রতীক ঘোষ
১.আকাশ ও সে
অফিস থেকে ফিরে
চার মিনিট এর রাস্তা তাকে হেঁটে আসতে হয়
এই চার মিনিট এর রাস্তাই
তার সাথে আকাশের কথা দেখা করার সময়।
অফিসে ঢোকার সময় থেকে বেরোনোর সময়
আকাশের রঙ পালটে যায়।
সে চশমার উপরে লেগে থাকা বাষ্প মুছে
আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসে
আকাশ কি ক্লান্ত,কতোদিন ঘাড় নিচু করে বেঁচক আছে অমানুষ এর মতো।
একটা চুয়াল্লিশ নম্বর বাস চলে গেলে
তার মনে হয় এ জীবন চাই না।
পরের চুয়াল্লিশ এর বাসে
সে দরজায় পা রাখার জায়গা পায়।
বাস এই জীবন না চাওয়া মানুষ দের
ভিড় নিয়ে এগিয়ে যায়
দশ ফুট বাই দশ ফুট এর গন্তব্যে।
এরপর আকাশ মিটি মিটি তারায়
তার দিকে তাকিয়ে
পাঁজর ফাটিয়ে হাসে।
২. আমাদের এই জন্ম
সকাল থেকে লেবু পাতা গুলো
নরম হাওয়ায় দুলছে।
এরপর,
মানুষের ছায়ার দৈর্ঘ্য ছোট হতে থাকে।
ঘেমে ঘেমে গলে নিঃশেষ হয় দায়িত্ববোধ।
#
এখন কাঠবিড়ালির মতো দ্রুত সন্ধে নামছে।
লেবুপাতার দুলুনি থামে না।
#
মানুষ কখনোও ফুলের জন্ম পাবে না।
৩. সংসার
একদিন বিকেল বেলা আমি
বাগানে ফুল কুড়োতে কুড়োতে
ঘুমিয়ে পড়েছিলাম
চোখ লেগে গেছিল আরকি
ঘুম ভাঙতে দেখি আমি
আর উঠতে পারছি না।
#
জানি না কখন আমার পিঠের উপর
কেউ একটা বাগান চাপিয়ে দিয়ে গেছে
সেই বাগানে দুটো পাখি থাকে
#
তারা গান গায়
বাসা বাঁধে।
#
আমি তাদের আর কোনোদিন ছুঁয়ে দেখতে পারি না
#
আমার পিঠের উর্বরতায়
ফলন্ত সংসার দেখি
#
সূর্যাস্ত অব্দি।
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন