এক বৃষ্টির জন্য ভেজা ফুল
[শামসুন্নাহার বৃষ্টির জন্মদিন উপলক্ষে নিবেদিত।]
দন্ত্যন ইসলাম
হাসনাহেনা শুধু গন্ধ বিলাতে জানে
গন্ধ বিলাতে জানে শুধু গন্ধরাজটি
ওরা ফুল নয়, ফুলের চাইতে উন্নত
ওরা মানুষ নয়, তাদের চেয়ে পবিত্র।
যতটুকু রূপালি রৌদ্র আছে তোমার ভেতরে
ততটুকুই আলোকিত করে দেয় তা ফুলের বাগান
যারা খুব স্থির দাঁড়িয়ে আছে নিজের পায়ে
ঠিক হাসনাহেনার ঝুলন্ত ফুলবতী ডাল
গন্ধরাজের অবারিত সৌন্দর্যের ডালপালায়
রোদ সেই তোমাদের মঙ্গল করে আপন রীতিতে।
বৃষ্টিতে মাখা কিছু শব্দ বানিয়ে আজ রুমাল বানালাম
রুমালে লিখে দিলাম বিনম্র উপহার
যার মহাভাণ্ডার ঐশী পারাবত দিয়ে গেছে
সন্ধ্যার কিছু আগে--
যখন তুমি গোলাপের পাতায় মিশ্রিত জলের অতলে
সাঁতার কেটে কেটে স্নান করছিলে।
পর্যাপ্ত মেঘলা দিন পেয়েছিল তোমার বিশেষ দিনটি
যেখানে ছিলাম না অপরিচিত আমি
না থেকেই তুলতুলে পেস্ট্রির বুকে চালিয়েছি
কোমল আঘাত, মজলিশ থেকে তখন
আনন্দের করতালি বাজিয়েছিল খুশিরত অচেনা।
তার পাশে রাখা ছিল হাসনাহেনা আর গন্ধরাজের মুঠো।
হে জন্ম পাহাড় তোমার হৃদয়ে ঠাঁই হবে
জারুলবনের বিশালতা
হরিণের পাল দুষ্টুমি হেঁটে যাবে জ্বলন্ত আগুন পাশ কাটিয়ে,
শপথ নিতে দাও সময়টুকু; রং করা চকমকি ঢেলে
উদযাপন করি তোমার উল্লাস দিন
তোমার মতো করে সাজানোর দিন।
এমন দীর্ঘ নৈঃসঙ্গের কবলে আর পড়িনি আমি
পরপর একাধিক একা ছিলাম
একটা বাড়ি মনে হচ্ছে ফুলের বাগান নয়
যার সবুজ ঘাসের ওপর শুয়ে নেই কোনও রমণী
অথচ জানো, ঘাসগুলো কেমন হলুদ হয়ে উঠছিল বারবার।
যেন কলকল পাখিদের সুরে তাজা হচ্ছিল পাতা
চারিদিকে সিম্ফনি বাজছে সুন্দরে সুন্দরে
টোল পরা গালের স্ফটিক হাসি শুনে
তার কোনও এক বিশেষ দিনে।
2> সমুদ্রের ডাকনাম ঢেউফুল
-----------------
আদর করে ঘুমের মিলনকে পৃষ্ঠার
দ্বিভাঁজ কোটরে শুইয়ে ফেলে
ডুগডুগির কর্ণস্নানে
দমহীন ফুঁ উল্টিয়ে
বহুবিধ আশালতা রোপণ করে উড়ালপুল।
ঘুমন্ত ঘোড়ার আদলে
আষাঢ়ের মেঘচূড়ায় ছায়ার মার্জিন
এঁকে দেয় ক্লাউন নগরী।
মিলনের শহরে বুক এলিয়ে
স্তন্যপায়ী শিশুদের দুধ পান করান
গর্ভবতী কুমারী পাহাড়।
বেশরম দর্শক দূরবীন কাঁধে
হেঁটে বেড়ায় পাহাড়ের খাদে খাদে
কোথাও নতুন গজায় সোনালি চুল
ও চুলের ক্রিসপি শব্দ।
এবং একুশ
[শামসুন্নাহার বৃষ্টির জন্মদিন উপলক্ষে নিবেদিত।]
দন্ত্যন ইসলাম
হাসনাহেনা শুধু গন্ধ বিলাতে জানে
গন্ধ বিলাতে জানে শুধু গন্ধরাজটি
ওরা ফুল নয়, ফুলের চাইতে উন্নত
ওরা মানুষ নয়, তাদের চেয়ে পবিত্র।
যতটুকু রূপালি রৌদ্র আছে তোমার ভেতরে
ততটুকুই আলোকিত করে দেয় তা ফুলের বাগান
যারা খুব স্থির দাঁড়িয়ে আছে নিজের পায়ে
ঠিক হাসনাহেনার ঝুলন্ত ফুলবতী ডাল
গন্ধরাজের অবারিত সৌন্দর্যের ডালপালায়
রোদ সেই তোমাদের মঙ্গল করে আপন রীতিতে।
বৃষ্টিতে মাখা কিছু শব্দ বানিয়ে আজ রুমাল বানালাম
রুমালে লিখে দিলাম বিনম্র উপহার
যার মহাভাণ্ডার ঐশী পারাবত দিয়ে গেছে
সন্ধ্যার কিছু আগে--
যখন তুমি গোলাপের পাতায় মিশ্রিত জলের অতলে
সাঁতার কেটে কেটে স্নান করছিলে।
পর্যাপ্ত মেঘলা দিন পেয়েছিল তোমার বিশেষ দিনটি
যেখানে ছিলাম না অপরিচিত আমি
না থেকেই তুলতুলে পেস্ট্রির বুকে চালিয়েছি
কোমল আঘাত, মজলিশ থেকে তখন
আনন্দের করতালি বাজিয়েছিল খুশিরত অচেনা।
তার পাশে রাখা ছিল হাসনাহেনা আর গন্ধরাজের মুঠো।
হে জন্ম পাহাড় তোমার হৃদয়ে ঠাঁই হবে
জারুলবনের বিশালতা
হরিণের পাল দুষ্টুমি হেঁটে যাবে জ্বলন্ত আগুন পাশ কাটিয়ে,
শপথ নিতে দাও সময়টুকু; রং করা চকমকি ঢেলে
উদযাপন করি তোমার উল্লাস দিন
তোমার মতো করে সাজানোর দিন।
এমন দীর্ঘ নৈঃসঙ্গের কবলে আর পড়িনি আমি
পরপর একাধিক একা ছিলাম
একটা বাড়ি মনে হচ্ছে ফুলের বাগান নয়
যার সবুজ ঘাসের ওপর শুয়ে নেই কোনও রমণী
অথচ জানো, ঘাসগুলো কেমন হলুদ হয়ে উঠছিল বারবার।
যেন কলকল পাখিদের সুরে তাজা হচ্ছিল পাতা
চারিদিকে সিম্ফনি বাজছে সুন্দরে সুন্দরে
টোল পরা গালের স্ফটিক হাসি শুনে
তার কোনও এক বিশেষ দিনে।
2> সমুদ্রের ডাকনাম ঢেউফুল
-----------------
আদর করে ঘুমের মিলনকে পৃষ্ঠার
দ্বিভাঁজ কোটরে শুইয়ে ফেলে
ডুগডুগির কর্ণস্নানে
দমহীন ফুঁ উল্টিয়ে
বহুবিধ আশালতা রোপণ করে উড়ালপুল।
ঘুমন্ত ঘোড়ার আদলে
আষাঢ়ের মেঘচূড়ায় ছায়ার মার্জিন
এঁকে দেয় ক্লাউন নগরী।
মিলনের শহরে বুক এলিয়ে
স্তন্যপায়ী শিশুদের দুধ পান করান
গর্ভবতী কুমারী পাহাড়।
বেশরম দর্শক দূরবীন কাঁধে
হেঁটে বেড়ায় পাহাড়ের খাদে খাদে
কোথাও নতুন গজায় সোনালি চুল
ও চুলের ক্রিসপি শব্দ।
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন