মাটির টানে
ঈপ্সিতা মন্ডল
বাদল ঝরা দিনের শেষে মেঘবালিকা এসে,
বললে আমার কানে কানে, বললে আমায় হেসে,
`আসো যদি আমার সাথে ওই পাহাড়ের চূড়ায়,
তোমায় নিয়ে উধাও হব পাগল মেঘের ভেলায়;
রামধনুকের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে শেষে,
হাজির হব আমরা দু'জন ইন্দ্রদেবের দেশে;
শোক-দুঃখ-আঘাত-ব্যথা নেই তো সেথায় কিছু,
সারাটা দিন কাটিয়ে দেব মেঘের পিছু পিছু !
সূর্যদেবের রথে চড়ে ঘুরব সারা আকাশ;
কিংবা নেব মনের সুখে পারিজাতের সুবাস ।
তোমার তরে নদির তীরে রইব অপেক্ষায়, –
পক্ষীরাজে উডিয়ে নেব একটি লহমায় !'
মেঘবালিকার কথা শুনে সইল না আর তর, –
রাঙামাটির পথটি বেয়ে চললেম নদী-চর । ।।
গোধূলিবেলার আকাশ তখন খেলছে রাঙা সিঁদুর; –
এমন সময় শুনতে পেলেম করুণ বাঁশির সুর !
সে যে আমার রাখাল ছেলে – ডাক দিয়েছে আমায় , –
তারে ছেড়ে যাচ্ছি আমি কোন সে সুখের আশায় ?
সেই তো আমার ইন্দ্রধনু , সেই তো আমার পারিজাত,
তারই স্পর্শে ভুলব সকল শোক-দুঃখ-আঘাত;
তার মধুর হাসি ভাসাবে মোর জগৎ-পারাবার,
তার বাঁশির সুরে দেব পাড়ি তিন-ভুবনের-পার !
ছুটব দু'জন হাওয়ার সাথে তেপান্তরের মাঠে;
সাঁঝের বেলা কাটবে মোদের কাজ্লাদিঘির ঘাটে; –
কাজ্লাদিঘির কালো জলে দেবে তখন ধরা,
স্বর্গলোকে আছে যত চন্দ্র-গ্রহ-তারা ! ।।
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন