সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৭

চয়ন



আমার মা
চয়ন


আমার মায়ের একহাতে বজ্র
আমার মায়ের একহাতে বাঁশি।
আমার মায়ের চোখে বিদ্যুৎজ্বালা।
আমার মায়ের শ্রমিক ঘামের গন্ধে
পারিজাত ফোটে।

রোজ সকালে আমার মায়ের ডাকে
জ্বলদর্চ্চি আমার সঙ্গে খেলতে আসে।
সন্ধে ঘনায়, আখর মেলায় পথ হারিয়ে
আমি যখন ভয় পাই, মা আসে ,আমার
হাতে তুলে দেয় আরাম কাঠি,জিওন কাঠি।

আমি ধরে রাখতে পারি নে। ভেঙে ফেলি।
অথই অভিমানে আমার মা হয়ে যায় মেঘনা,
বিদ্যাধরী। আমার হারিয়ে ফেলা ভিটে
আমার পায়ের পাশে বসে করুণ চোখে চায়।

আমার মায়ের সুর সেতারের তারে ধরে নিয়ে
একলা সাধক চোখ বুজে এঁকে যান সিন্ধু বারোয়া।

রাত বাড়ে। আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকে পরশুরাম
ওরেস্তেস। অয়দিপাউস বলে ডেকে ফেরে
ঘেন্না যুবতী। স্মরদশা নীল করে রক্তাভ হৃদি।
বিষকন্যার গানে সঙ্গত করে চলে সূর্যের নেশা।

হাটের লোকে কানাকানি ক'রে চলে
চোখ মটকিয়ে হাসে অহল্যাগামী।

আমি তাই অগস্ত্য তৃষা বুকে নিয়ে
এক নিঃশ্বাসে শুষি গরল পাথার।

তারপর নিজেকেই কুচি কুচি ক'রে
রক্তকমলদল ফেলি রাজপথে।

চন্দন ঘ্রাণ মেখে, লাল শাড়ী প'রে
ঘর থেকে বারপথে বেরোবার কালে
আমার মায়ের পায়ে ধুলো লাগবে না।


এবং একুশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন