হতভাগা’র কবিতা লেখা
অঞ্জন সরকার
শুনেছি, সবার মাঝেই নাকি আছে এক কবি।
অনেকটা যেন ঘুম পাড়ান
সুকান্ত, নজরুল, নয়ত রবি।
কবি কে?
যে কথা সাজিয়ে বুনে নানান স্বপ্ন!
সেই স্বপ্নজগতে হয়ে সে মগ্ন,
কত ছবি ফেলে এঁকে।
সাদা, কাল, রঙ্গিন, ধুসর অনুভুতি,
আবেগ, উচ্ছাস, বিশাদ, আকুতি,
সাজায় সে কবিতা’র মাঝে রেখে?
কথা সাজান! এমনকি ব্যাপার!
রোজই ত সবাই করি আখছার।
আমিও তা’হলে দেখিনা কবিতা লিখে।
নিয়ে কাগজ, কলম, মসী,
ঘরে’র নিভৃত কোনে বশি,
বহুক্ষণ ধরি কথা খুঁজে ফিরি,
কথার মাঝে আসেনা যে ছিরি,
কাগজ ভরে সুধু বাড়ে কাটাকুটি,
চাঁদটা ঝলসে হয়েনাক রুটি,
উচ্ছাস যেন হাতাশায় যায় ঢেকে।
ইচ্ছেটা খোঁচা মারে বারবার,
লিখতেই হবে লাইন দুই চার,
নুতন পাতায় লিখব আবার,
রেখে জেতে চাই আমিও স্বপ্ন এঁকে।
এ ধৃষ্টতা তার, সইল না আর,
প্রাতিবাদে,
হাত থেকে প’ড়ে কলমটাই গেল বেঁকে।
“ওরে হতভাগা!
কবিতা কি তোর বাড়ি’র আসবাব,
চেয়ার, টেবিল, আয়না!
নতুন নতুন আনবি ঘরে,
যখনই ধরবি বায়না!”
কবিতা! সে যেন স্বৈরিণী নারী, ইচ্ছামতন ধরতে না পারি,
কবিতা যে ভাই ‘মেইড টু অর্ডার’ হয়না।
হাতে কলম নিলেই কবিতা লেখা যায়না।
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন