সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৭

ঋতব্রত ঘোষ


আজ খুশির দিন
ঋতব্রত ঘোষ

বিদ্যুল্লেখার আজ বিবাহবার্ষিকী।
উৎসবের মেজাজে কলকাতার কবি কূল,
উৎফুল্ল হয়ে জানালেন এক বন্ধু
ওনারা সবাই মিলে গাড়ি ভাড়া করেছেন একটা


আসরে উপস্থিত হবেন দল বেঁধে, সুদূর বারাসতে ---
তুমিও চলো, বললেন তিনি।
আমার যাওয়া হবে না ভাই, আমি বললুম, কাজ আছে।
কিসের যে কাজ, মনে মনে ভাবি তক্ষুণি,
সরবে ভাবি না, নির্বিকার ভাবি।
একটা রক্তক্ষরণ সুরু হয়েছে,
পচনের শেষ দশায় অন্তরের নিরন্তপ বীজকগুলি খুব তেড়েফুঁড়ে উঠে প্রলেপ লাগায়,
তখন খুব কাজের নেশা চাপে, একটা তাগিদ ---
যৌনকামনার মতো,
কে প্রথম লিবিডো শব্দটা প্রচলন করেছিলেন
আমি জানি না,
জানবার চেষ্টা করছি
এই ব্যবস্থাটা আমাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করে না,
চোখের ওপরে, বুদ্ধির ওপরে একটা আচ্ছাদন ফেলে রাখে কিৎসু না জানার সংগোপনে স্বল্পদীর্ঘ জান্তার আড়ম্বর।
জানার উল্লাস শিহরণ জাগায় নি বহুদিন।
যেটুক জানি তাতেও কোন রোমাঞ্চ হয় না।
কুহেলি প্রহেলি ভাত-কাপড়ে মোড়া
জলজ্যান্ত যুক্তি চিন্তার প্রবাহগুলি
কুচকাওয়াজ করতে করতে চলে গেল সামনে দিয়ে,
চাওয়া অচেনার আওড় পথহারা করে কোনদিকে যে নিয়ে গেছে!
ধীরমতি আবাহনের সাথে বিদ্রুপ আর লক্ষভ্রষ্ট চাহনি কখন না-জানিয়েই চলে গিয়েছে তীরবেগে
ধরা-ছোঁয়ার বাইরে
দিশারীর খোঁজে;
উঠানে কোণায় গোটানো মাদুরটার ওপর উঠে বসি
খোলা আকাশের নীচে অনবরত বৃষ্টি পড়ছে বলে রক্তস্রাব ধুয়ে যাচ্ছে,
পরম বন্ধুটিও এলেন বসলেন দু-চার কথায়,
আলোচনা হল রামায়ণে ব্রহ্মদেশের উল্লেখ আছে,
সুরুর আগে বা শেষের পরে জানতে পারলেন না সুহৃদ
এই বোধয় শেষ অনিমেষ দেখা আমাদের।
না-ই জানলেন, ক্ষতের গভীরে যন্ত্রণা বাড়ে
এবং ক্ষত প্রাচীন হলে
বাইরে তার চলন যতই থাক অমলিন।
তাছাড়া আজ উৎসবের দিন,
চারিদিকে একটা খুশির আমেজ
আমারও দেখ নিজেকে অনেকখানি হাল্কা মনে হচ্ছে
চেতনার দহন আমাকে মুক্তি দিয়েছে।

এবং একুশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন