দৈনন্দিন
গৌতম দত্ত
কাল যা ছিল লালচে মাটি
আজকে সবুজ স্বর্গঘেরা
পরশু রাঙা পাথর বাটি
আমরা শুধুই ভাঙাচোড়া।
জনের হাতেই চাবি-কাঠি
ফর্দ দেদার তোষা খানার।
নিয়মকানুন পরিপাটি
দরকার কি, বেশী জানার।
জলছবি তো কবেই শেখা
জলের ছাপে ছবিই ফোটে—
বেগনে পারের আলো মাখা
একটুখানি রঙ তো মোটে !
সেই রঙেতেই কুর্শি হাসে
লক্ষ হাজার ওয়াট জ্বলে—
ফর্দ তখন মনের পাশে
কিল্বিলিয়ে তুফান তোলে।
হাজার হাজার শিলালিপি
উড়বে কত হাওয়ার মত
চারি দিকেই ফুটবে পাপী
অজানা ঝড় আসবে কতো।
দিনবদলের পাল্লাভারী
সবাই বলে “আমি”ই ভাল
আমরা যেন ইস্কাবনের
সাহেব বিবি গোলাম কালো।
যেমন করে হাঁকবে তারা
তেমন করেই প্রতি দানে—
মিলবে জীবন ছন্নছাড়া
সেই তাকানো— আকাশপানে।
এমন করেই বেঁচে থাকা
দিন কাটানোর ধারাপাতে।
স্বপ্ন শুধু আওয়াজ, ফাঁকা
নিয়ম ভাঙা নিয়মমতে।
মানুষজনে ঘর বেঁধেছে
কোন সে কালে আলোর খোঁজে
সেই মানুষই ঘর ভেঙেছে
নিজের ভালো নিজেই বোঝে।
দিনরাত্তির যুদ্ধ চালায়
অশান্তি তার নিত্য পাওয়া।
শান্তি এখন দৌড়ে পালায়
বইছে বেগে উল্টো হাওয়া।
সবুজ কিম্বা লালচে মাটি
একই ফসল ষোলোআনা।
মনমুখে যে পাথরবাটি
তাইত এ দেশ হচ্ছে কানা।
দেশের মাটি সবই বোঝে
যতই কেন মিথ্যে সাজাও
ডোবা মানুষ ডাঙাই খোঁজে
যতই কেন জাহাজ নামাও।
সূর্য ওঠা পূবে’র আকাশ
বেলা হলেই সূর্য তাড়ায়
সত্যিও তাই মুক্ত প্রকাশ
সাগর তলে মুক্ত জমায়।
এবং একুশ
ভাল লাগল
উত্তরমুছুনভাল লাগল
উত্তরমুছুন