এলোমেলো ভাবনা
ইন্দ্রনীল ভাদুড়ী
বহুদূরে মনের গভীরে যখন তুমি প্রতিনিয়ত
সূর্যের স্বর্ণালী আভার ঝলকের মাঝে বলিষ্ঠতা খুঁজে বেড়াও,
আমি অন্বেষণ করতে থাকি মদিরার সুবাসে বারবার,
নিবিড় স্বপ্নালু স্পর্শের হারানো রহস্য কি গ্রাস করে
একটু একটু করে এক ভাঙাচোরা হৃদয়ের কিছু টুকরো নুড়িপাথর ?
হয়ত বা জানা নেই অচেনা সে প্রশ্নের ঝাপসা কোন উত্তর –
বড় বজ্রকঠিন কাজ তখন আমার কাছে,
প্রেমকে দৃঢ়বন্ধনে আবদ্ধ করতে,
অথবা কর্কশ ঠোঁটের উষ্ণস্পর্শে
তোমার বিদ্রোহী চেতনাকে গলিয়ে দিতে চাওয়া ...।
কালো মেঘ জমতে শুরু করে আকাশে,
এবং সীমাহীন ব্যর্থতা বেদনারূপে কুরে কুরে খায় !
জয়ডঙ্কা বাজায় তখন চরম অহংকারী কর্তব্যবোধ !
আর তুমি ? হঠাতই যেন সামাজিক অপরাধপ্রবণতা থেকে চাও পালাতে ।। সন্ন্যাস এর চাদর গায়ে দেওয়া বিবেক এসে বাধা সৃষ্টি করে ...
ঠেলে সরিয়ে দেয় তোমার তীব্র ইচ্ছেগুলি –
গোপন ভালবাসা, নিষিদ্ধ পাপের মোহ তখন উপভোগ্য ব্যাকুল মন জুড়ে ... শিহরিত অন্তর যায় রয়ে , ধীরে ধীরে মধ্যরাত্রির শ্মশান হয়ে,
এলোমেলো ভাবনার জ্বলন্ত চিতার বিষাক্ত ধোঁওয়া
গিলে খায় তোমায় আর আমায় ! ক্রমে নিদ্রার পরশ, তখন আমার সুখসাগর । থেকে যাও তুমি একলা, ভেঙ্গে পড়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয় দামী হুইস্কির গেলাস
বাইরে এল কালবৈশাখী, উড়ে যায় শুকনো পাতা শত শত ...
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন