রক্তক্ষয়ী অস্তিমান
প্রনবেশ ঘোষ
এই যে নীরবতার রক্তক্ষরণ
নিঃশব্দের মশালে আমার রক্তে আগুন লাগা,
নীরবতার এই কুহকী রক্তচক্ষু আমার জ্বলছে
কারো এক নিশ্চুপ তীক্ষ্ণ আখেটক দৃষ্টি-জ্যোতির প্রেমানুরক্তী আগুনের মশালে!
তারই শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দহীন আভাসের সমূলোত্পাটন রেশে,
ভেসে যাচ্ছে আমার রক্ত পোড়া গুমোট গন্ধটা-
ব্যপিত কালো ধোঁয়ার উচ্ছিষ্ট জৈবধংসাবশেষ হয়ে!
হঠাৎই মোর নীরব জীবন মেঘের বুক চিঁড়ে
প্রতিটা লাব্-ডুব্ তরঙ্গের চাপে রক্ত নিঃসরণ বিদ্যুৎ-বজ্র স্রোতের
আজ নীরবেই বহিঃপ্রকাশ আমার এই নিশ্চুপ কুহকী রক্তচক্ষু।
তার অক্ষটি দৃষ্টিরেখার এক প্রেমাগ্নি-তন্তুবিণ্যাসী নিঃস্তব্ধ মশালের
ভৌতিক অগ্নিগর্ভের নিশ্চুপ স্তব্ধকাতর গুণিন লগ্ন-প্রবাহী আনাগুনায়
নীরবেই এ আমার স্তব্ধ রক্তচক্ষুর প্রশান্ত রক্তাভ সৃজনী রক্তরাগ দহনে
আজ তার প্রেম-মোহিতে মুগ্ধ মোর নীরবতার ক্রমবর্দ্ধমান রক্তক্ষরন
এ হৃদ-খাঁচাটা ফাঁটিয়ে চিঁড়ে-খুঁড়ে বেড়োচ্ছে
নিস্তব্ধ আমার চক্ষুপ্রণালীর পথ দিয়ে!
মশালরূপী তার ঐ অগ্নিকুন্ড এক রক্তখুর পিশাচ!
জ্বালিয়ে পুড়ে পুড়ে রক্ত খেয়েও তার ক্রমবর্দ্ধিত রক্তখেঁকো নেশায়
নিশ্চুপে শুষেই নিচ্ছে মোর নীরবতায় প্রাণবন্ত সৃজনী অনুশক্তির রক্তপ্রবাহ
তার পৈশাচিক অনল জ্বলন্ত নিঃশব্দ ভৌতিক মশালের আগুনে!
জীবন নামের রক্তপদ্মটা আমার আজ
শুকিয়ে মূর্চ্ছিত শ্বেতপাপড়ির একচিলতে তন্তুর মহাকাল রূপের অধিষ্ঠিত!
মোর রক্তে বেঁচে থাকা প্রীতিবিহ্বল সৌভিক নীলাত্মিক বীজ
তার প্রেমতন্তুর তীক্ষ্ণবিণ্যাসী দৃষ্টিজ্যোতির উদ্দীপ্ত নিলম্বন জাগরুক অগ্নিসজ্জার
ঐ অদূষ্য মশালের শোষনে পুড়ে গিয়ে হয়েছে চির ধ্বংসানুসায়ী-নিকুচি!
আজ এই পোড়া রক্তচিত্রের লাল-কালো রক্তাল্পনার অভ্যন্তরে
তার কর্কশ রক্তখেঁকো পৈশাচিক উল্লাসী হাসির অনুরননে
আমার নীরবতার রক্তক্ষরন এক ক্রমবর্দ্ধিত রক্তিম ঝড়নার উন্মুক্ত বর্ষণধারা!
একলা যে কাঁদে আজ শুধু নিজেরই ভেতর রক্তপোড়া গন্ধের স্তব্ধ ধোঁয়ার কালো রেশে
মোর এই পোড়া স্বীয়-রক্তধারার নিথর নিশ্চুপ চিত্তবৃত্ত,
নিঃশব্দের গুনিন-কুহকী সন্নিধিস্থ রহস্যের অবগুন্ঠিত আবরনে
আমার এই নীরবতার রক্তক্ষয়ী অস্তিত্ব !!
এবং একুশ