বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

গোপেশ দে









আমার বয়স্ক সন্ধেটুকু
গোপেশ দে



আমার বয়স্ক সন্ধেটুকু হাপিত্যেশ দিয়ে থাকে গ্রীলঘেরা ব্যলকনি মাঝে।
চোখেতে ধুয়াশা ঘেরা মোটা লেন্সের চশমায় আমাকেই শুধু দেখা যায়।
আমাকেই আমি শুধু দেখি কথা বলি অচেনা আমার সাথে শুধু
অচেনা আমি কিন্তু চেনা আত্নার সাথে মিশ্রিত হয়ে কথা বলি নিরন্তর সঙ্গোপন করে দীর্ঘশ্বাস।
এখানে দাঁড়িয়ে থাক,
না চল ভেতরে যাই চায়ের আশায়,
না থাক বলছি,
ঠিক আছে আর একটু থাকি-
কথা কাটাকাটি শেষ।
মুখেতে রোমন্থনে জানালার গ্রীলে ঠেস মেরে
চোখ দিয়ে দেই দূরের ল্যাম্পপোস্ট পার করে হরিপদর চায়ের দোকানে।
একাকী বিহঙ্গ হয়ে সঙ্গীহীন বুড়োভামে আবিষ্কার করি কোনো স্মৃতি।
স্মৃতির আদতে সেই শৈশব স্মৃতির নিউরন পৃষ্ঠা খুলে যায়।
দৌড়াদৌড়ি,
লাফালাফি,
উড়াউড়ি,
দস্যিপনা,
ইত্যাদি ইত্যাদি....
তারপর....
নিজের স্বেচ্ছাচারী অব্যর্থ রাগের মশলায় মিশে যাই।
আজ এই টিনটিনে শরীরে হাড়গোড় সব গোনা যায়
যেন হৃদপিন্ড বাজাচ্ছে ধ্বনি, প্রতিধ্বনি বেশ চুপচাপ।
আর রাস্তায় দুরন্ত শিশু আমাকে দেখে মুখ ভেংচি কাটে।
আমি হেসে কূল পাইনা একাকী জানালার পাশে একাকী হয়ে।
এইত চলছে বেশ সময়ের সাথে ধরনা দিয়ে।
এইত চলছে বেশ সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে।








এবং একুশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন