যাবার আগে
শুক্লা মালাকার
এখনো অনেক কাজ বাকি
ফুলডুংরির পাথরে লিখে এসেছিলাম যে নির্জনতা
শহরের ধুলায় তাকে খুঁজে পাওয়া বাকি,
ভালকি গ্রামের নিধুকে মাষ্টার করার জন্য ফিরতে পারিনি আজও,
সেই কবে কোন হরিদাস ছুঁড়ে গিয়েছিল এক তেজি দুপুর
ভাঙাচোরা সিঁড়িতে বসে তার হিসেব ফেরত দেওয়া যায়নি,
চাঁদের আলোয় মাখামাখি হয়ে থাকা ঘুমন্ত মেয়ের ছবি
আঁকা হয়ে ওঠে নি,
উন্মাদিনীর কান্না তারা হয়ে ছড়িয়েছে আকাশে
আজও তা গোনা গেল না।
নিজেকে ভুলিয়ে রাখি নানা ছলে, পরম আশ্বাসে
এত কাজ আছে
ভস্মভূমি ডাকবে না কাছে।
শুধু মাঝে মাঝে লেলিহাণ বিষন্নতার তুমুল ঝড়ে ভেঙে পড়ি,
‘আমি নেই’ এই দৃশ্যমান শূণ্যতা রক্তবীজের মতো বেড়ে চলে।
মুঠোফোনের গা ছুঁয়ে ছুঁয়ে পাগলের মতো খুঁজি ‘প্লেটলেট’।
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন