মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১৬

সেলিম কুরেশি






মরণ
সেলিম কুরেশি




মরণ ১;
জীবনের সত্য জীবনেই নিহিত, তাঁর জন্ম কোন জরায়ুর গর্ভে নয়
না তাঁর মৃত্যু কোন খোদাই করা গোরস্তানে।
মানুষ হেঁটেছে কত পথ বছরে পর বছর, এ শুধু এক মুহূর্ত থেকে মুহূর্তের উত্তোলন
শুধু এক শাশ্বত অন্তিমের চিরস্তায়ী চমৎকার ; এক চাকচিক্য ধরে আছে
সপ্নের কেমেরার রঙিন অবলিলায় । সপ্ন ভাঙলেই জেগে উটে সমর্পিত মৃত্যুর মহা সন্ত্রাসে ।

মরণ ২;
ওগো মানুষ তুমি আর সাগরের ফেনার ফানুশ
ভেসে রও পানির নোনা শরীরে সাগরের সৈকতে
এক আমরন দুশমন বাতাসের কাছে সমর্পিত হবে বলে
আর বাতাস প্রবল হয়ে আসে দাঙ্গায় নামবে বলে
নিয়ে আসে সাগরের নোনা আত্তহুতি,
তুমি মিলিয়ে যাও বালিকার সিকিকোনে,
যেন ছিলোনা উৎপত্তি তোমার কোন কালে।
মানুষ আর ফেনার ফানুশ, একই সমান্তরাল চলাচল

মরণ ৩;
আত্মাই দেহের সেই অন্তরীন ভ্রুন,
একখান চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া
চলতে আছে আপন ঘোরে,
জেগে উটে তাই অন্তিম জাগরনে।
ওরা বলে উদয়ের দিন,উন্মেষের দিন আজ ।
তুমি বুক ভাসাও কেঁদে, তুমি আর কোনখানে নেই বলে।
তুমি কস্মিনকালেও বুমার, আজিইতো তোমার প্রসববেদনার
এক ঐশ্বর্যশালী সৃষ্টির মহান যোগের দিন ।

মরণ ৪;
মরন দিয়ে গেছে অচলা মর্তের সন্তানের শেষান্ত
গানে গানে দেহ বলে তোমার হলও শুরু
আর মন বলে সুরে তালে তোমার হলও সারা
জয় জয়কার এখন আমারই অন্তরের অন্তরিক্ষে।

মরণ ৫;
মরন নিয়ে গেল স্পর্শ আর সংস্পর্শের সকল মান অভিমান।
রয়ে গেল জীবনের সকল সচেতন আর সজাগতা,
রেখে গেছ মনে স্মৃতির পাণ্ডুলিপি।
তুমি আর আমি হেঁটেছি মধুর বসন্তে, বর্ষায় ভিজেছি রিক্সার হুড তোলে,
খোজেছি উষ্ণতা শীতের সকালে চায়ের পেয়ালায়
গ্রীষ্মের খরায় ঘেমেছি ঘামে, লিখেছি নাম মাইলের ফলকে।
পরোলৌকিকতা পারবেকি ছিনিয়ে নিতে
জীবনের সকল স্মৃতির কথক আর ভৈরবী রাগ ।

মরণ ৬;
জীবনের আকুল সেই প্রতিক্ষা , শিশুর জন্মের গর্ভবস্তা
তারপর আবারো প্রতিক্ষা ।
দরজায় সেই অজানা কলিং বেলের ,মরনের শেষ আওয়ােজ
চলে যাওয়া এক অচলা শীতের খাঁজে
এইতো জীবন দুই প্রতিক্ষার হাত ধরাধরিতে।
এইতো জীবন জাতির উদয়ে আর বিলীনে
সকল কিছুর চলে যাওয়ার মাতমে।








এবং একুশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন