সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৭

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

প্রকাশিত হলো 'এবং একুশ' জানুয়ারি ২০১৭ সংখ্যা।
এই সংখ্যার নির্বাচিত কবিরা হলেন-



এবং একুশ

চয়ন



আমার মা
চয়ন


আমার মায়ের একহাতে বজ্র
আমার মায়ের একহাতে বাঁশি।
আমার মায়ের চোখে বিদ্যুৎজ্বালা।
আমার মায়ের শ্রমিক ঘামের গন্ধে
পারিজাত ফোটে।

পিয়ালী বসু ঘোষ



জানালা
পিয়ালী বসু ঘোষ



ছোট্ট একটা জানলা ছিল তোমার
ছদ্মবেশী অতিথি আমি
চোখ রাখতাম মাঝে সাঝে ...

চন্দ্রাণী বসু



মেরি ক্রিসমাস
চন্দ্রাণী বসু


প্রক্ষেপিত দিনের যাপিত সঙ্গমে
ক্রমাগত দুঃস্বপ্নের প্রজনন বেড়ে চলে

অঞ্জন সরকার



হতভাগা’র কবিতা লেখা
অঞ্জন সরকার

শুনেছি, সবার মাঝেই নাকি আছে এক কবি।
অনেকটা যেন ঘুম পাড়ান
সুকান্ত, নজরুল, নয়ত রবি।

তিতলি দাস



উত্তাপ সমূহ
তিতলি দাস


মধ্যাহ্ন পেরতে বসলে
ফেরিওয়ালা ডাক দিয়ে যায়।
গৃহস্থের উঠান তার
বিশ্রামের অস্থায়ী ঠিকানা,
মাঝেমধ্যে হাঁক পেড়ে

সুদীপ্ত রায়



কালের উপহার
সুদীপ্ত রায়


জীবনের সন্ধ্যায়,
আবেগের মন্দা;
রজনীগন্ধারা,
তাই বুঝি বন্ধ্যা?

অজাতশত্রু মৌর্য



মুখচোরা নদী
অজাতশত্রু মৌর্য


যে পথে আকাশ হেঁটে গেছে,
সে পথেই বাড়ি ফিরছিলাম আজ, একা একাই।

সুকান্ত দে



শুভেচ্ছা
সুকান্ত দে


নতুন বছর ঘুরে ফিরে দেখা সুখ
নতুন আয়নায় পুরাতন যত মুখ
কিছু মানুষের সবেতেই বাড়াবাড়ি
আমরা তো শুভ ইচ্ছে জানাতে পারি।

মারজ্বানূল বাহার শিউলী


কখনও যদি তার দেখা মেলে
মারজ্বানূল বাহার শিউলী


কখনও যদি তার দেখা মেলে...
কোন চৈতালী স্বর্ণালী-সন্ধ্যায়
বোলে দেবো তাকে-----
থাকে যেনো দুরন্ত- কালবৈশাখীর অপেক্ষায়...।

সব্যসাচী


তোর জন্যসব্যসাচী

তোর জন্য করতে পারি ভাবের ঘরে চুরি
তোর জন্যই আমার অনেক মিথ্যে জারিজুরি
তোর জন্যই হৃদয় আমার কৃষ্ণচূড়া ফুল
তোর জন্যই সত্যি ভেবে ভুলের পরে ভুল

কমলবিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়



প্রকৃতি
কমলবিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়


ঝর্ণা, নদী, পাহাড় দূরে
হাতছানি দেয় বারে বারে।

কেয়া রায়



সকাম মনস্কাম
কেয়া রায়


বেশ, তাই হোক তবে |
ঔদার্য নাই বা হল ঋদ্ধ, ঈর্ষাই হোক নিপাতনে সিদ্ধ |

প্রবীর কুমার চৌধুরী



ধোয়াসার জীবন 
প্রবীর কুমার চৌধুরী 


জোছনার মুখ ভার ,
কেঁদে যায় বেহাগ বিবর্ণ সন্ধ্যায়।
ভাঙ্গা ভাঙ্গা প্রাচীরের ফাঁকে -
চাপা আছে ইতিহাস ।
সম্পর্কগুলো ভেসে যায় ভাঙ্গা ভাঙ্গা নৌকায় ।

রাখহরি পাল



পালে লেগে ছিল হাওয়া
রাখহরি পাল


মায়া মলাটের বিবর্ণ রঙেস্মৃতি জাগরুক কিশোর বিদ্যাভবন
রঙ চটা বেঞ্চ, কাটাকুটি নাম, হিজিবিজি ছবি, কিছু লেখা, যা তা
সেটা ছিল আমাদের, পাশে আড়াআড়ি মেয়েদের বেঞ্চ পাতা।

গৌতম দত্ত



দৈনন্দিন
গৌতম দত্ত


কাল যা ছিল লালচে মাটি
আজকে সবুজ স্বর্গঘেরা
পরশু রাঙা পাথর বাটি
আমরা শুধুই ভাঙাচোড়া।

ঋতব্রত ঘোষ


আজ খুশির দিন
ঋতব্রত ঘোষ

বিদ্যুল্লেখার আজ বিবাহবার্ষিকী।
উৎসবের মেজাজে কলকাতার কবি কূল,
উৎফুল্ল হয়ে জানালেন এক বন্ধু
ওনারা সবাই মিলে গাড়ি ভাড়া করেছেন একটা

সোমাদ্রি সাহা



আর লিখব না
সোমাদ্রি সাহা


কী আর হবে এতো লিখে।
কেউ কী বদলেছে।
সবাই নিজের মতো, মনের মতো
আমায় গালি দিয়ে চলে গেছে।
সবাই নিজেরটুকুকে ঠিক ভেবেছে।

শঙ্কর বন্দোপাধ্যায়

প্রয়াণ
শঙ্কর বন্দোপাধ্যায়

যেতে হয়, তবু সেই যেতে হয় চলে
হেমন্তের স্নিগ্ধ পরিমলে
নিজের নিজের নীড় গড়ে তোলা পাখিদের মত
সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা স্বপ্ন কতশত
অনাবিল পরাগের নীল মোহানায়
চক্রবাল ছুঁয়ে যেতে চায়।

বন্দনা মিত্র

পৃথিবী ভালোই আছে
বন্দনা মিত্র


শীতের দুপুর হাওয়ায় ওড়ে
এদিক ওদিক।
গোলাপী রঙ বারান্দাটি
বোগন ভিলার র স্কার্ফ জড়িয়ে
রাস্তা দেখে ঝুঁকিয়ে শরীর ।

দেবীস্মিতা দেব



বৃষ্টি তুমি 
দেবীস্মিতা দেব

বৃষ্টি যখন রাতের বেলা
ঝুমুর ঝুম ঝুমুর ঝুম
সবাই তখন ভীষণভাবে
ঘুমুর ঘুম ঘুমুর ঘুম।
আমি শুধু বসে বসে বৃষ্টি দেখি।

প্রণমিতা মুখার্জি



প্রাণ
প্রণমিতা মুখার্জি


ঝরা পাতা উড়ে যায় নীল আকাশের বুকে,
শুন্যস্থান পূরণ করতে আসে
ঘূর্ণি হাওয়া পৃথিবীর বুকে।