বৃহস্পতিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

শ্যামল সোম


আমার স্বপ্নে নামে রাত পরী
শ্যামল সোম


জ্যোৎস্নার আলোয় ঐ চিক মিক করছে 
মধুমতী নদীর জল, রাতে নদীর পারে 
হাতটি ধরে আনলো মেয়ে, সে রাত পরী।
তখন ঘুম রয়েছে চোখে, এই শিশির ভেজা
ঘাসের পরে পাশে বসিয়ে মেয়ে চেয়ে থাকে 
আমার মুখের পানে, রূপসীর কালো চোখের 
তারা, কি যেন করে ইশারা, আমি অবাক চোখে
চেয়ে আছি, এক ভালো লাগায় ভরে উঠলো মন।
ঝাঁপিয়ে এলো ঝর, এখন ঐ শন শনিয়ে বহিছে
বাতাস; ঝরের মাতন সে এক পাগলা নাচন, দুলছে 
গাছ, উড়ছে পাতা, ভাঙছে ডাল, রাত পরী ঝরের
মাঝে উঠলো নেচে, " হৃদয় আমার নাচে রে
আজিকে ময়ুরের মতো নাচেরে।"
ভেসে আসছে গান, মেয়ের আপন হাতের দোলায়
দুলে উঠলো প্রাণ, কাঁপিয়ে বৃষ্টি নামলো অঝরে 
ঝরে বৃষ্টির জলে ভিজে আমাকে দু- হাতে ধরে, 
কোমর জড়িয়ে নাচছে, নাচে সে নেচেই চলে।
হাতটা ধরে দৌড়ে গিয়ে এক বিশাল অশ্বত্থ গাছের
তলায় আসি আমরা দুজনে, দুজনে দুজনের দিকে 
অপলক চোখে চেয়ে আছি, আকুল ধারায় বৃষ্টি ঝরছে।
বৃষ্টির শব্দ ভাসিয়ে নিয়ে চলছে কোথায়, আনন্দ 
স্বর্গের উদ্যানে।
রাত পরীর কাঁধে রেখে হাত, মুগ্ধ দৃষ্টি মেলে, 
এই শরীরের নিবিড় আকর্ষণে দৃঢ় আলিঙ্গনে, 
তৃষিত চুম্বনে নরম ভিজে ঘাসের শয্যায়, ভেসে 
যাই অকুল দোরিয়ায়, হাল ভাঙা, ছেঁড়া পাল, নৌকো 
টাল মাতাল, ভেসে চলি অনন্ত এক অজানা যাত্রায়।






এবং একুশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন