করুনা
অমরেশ দেবনাথ
তোমারে পেতে নীরব মনে গোপন প্রেমের তারে,
ঘুরেছি কত ডালে ডালে মানে অপমানে,
তবু আমার ভুল গেলনা মিছে দাবানলে!
শিশির কনা চায় যে সমীর শুধুই তোমার মেঘে,
সিক্ত হতে তোমারি ধারায় চরম তাপের মাঝে,
তাকাই সকল চোখের মাঝে বেদনা বিধুর চোখে,
অহঙ্কারের অনল শুধু, দেয় যে আঘাত ঘাতে প্রতিঘাতে!
নিত্য যেন ভাঁসি ধারায় তোমারি শ্রাবন মাঝে,
যতই পেলাম আঘাত প্রানে সকলি ব্যথা সয়ে,
এমন মধুর প্রেমেরো বীণায় সুর যে আসে মনে,
তুমিইতো নীরব গানের কথা, খুঁজি গোপন রবে!
দুপুরেতে ভীষন তাপে কোথায় হারালে শেষে,
গোধুলীতে বিজন ঘরে চরম তাপের ভারে,
নিশীত রজনী অন্ধকারে কাঁদে চোখের জলে,
এমন সময় তুমি এলে শীতল সমীর, গন্ধরাজে!
আকাশ তবে সাজলো শেষে কত রঙে আলোর কিরণে,
ছন্দ তবে সুর যে হয়ে গাইছে গান কর্নকুহরেতে,
কি যে সুধা সমীরনে, তোমারি গন্ধ ফুলে ফলে,
পাতায় পাতায় পাখী ডাকে তোমার অভিসারে!
প্রথম প্রেমেরো বাদল ধারায় ভাঁসে পৃথিবী সুরে,
গন্ধে পুষ্পে সমীরনে মেতেছে প্রান প্রেমেরো তিয়াষে,
এসেছো তুমি ব্রততীতে কত ফুলে কত রঙে,
আমার মৃত বন্ধ্যা মাটি পেল তোমায় নব অঙ্কুরেতে!
আমিও যেন সকলি সঁপি সমর্পনে অঞ্জলিতে নিত্য প্রেমেতে,
ফিরে পেতে মধুরো ছুয়া পাষান মনে তোমার বাদলে,
তাকিয়ে আছি তোমার চোখে, তুমিও কাঁদো অনুরাগে,
ভরে আসে চোখ যে আমার, করুনাসিন্ধুর করুনাতে!
পেয়েছি তোমার স্পর্শ্য প্রানে তোমার কথার সিন্ধুরসে,
জেগেছে আমার মৃত প্রান কত রজনী পরে শেষে,
বসন্ত আজ সাজলো রঙে তোমার ছুয়ায় অন্ধকারে,
জীবন আমার পূর্ন হল তোমারি ফুলের পাপড়ি হয়ে!
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন