চাঁদগুঁড়ো
পল্লববরন পাল
বালিশে ভ’রে দিলাম চাঁদগুঁড়ো
বালিশ হলো রাতআকাশ
আমি মাথা রাখলাম আকাশে
ও ভালোবাসা,
ডানা মুড়ে খানিক বসো না
আমার চোখপল্লবে?
****************
পাহাড়ি জানলার শার্সিতে
নখ আঁচড়াচ্ছে যে সাদা বেড়ালটা
তার ভালোনাম মেঘ,
সদরদরজায় কড়া নাড়ছে
শালজঙ্গলের যে মগডালগুলো
ওদের ভালোনাম বৃষ্টি
তুমি হাত ধরলেই
ভ্রমণ হবো
বেড়ালটা ধর্ম হয়ে চলুক না সঙ্গে
****************
মল্লারে বড্ডো বুক নিঙড়োয়
আর উঠোন উপচে
দাওয়ার মাটি হড়কায়
তার চেয়ে বরং
তোমার রোদেল মেঘের গল্প বলো
যার আলোছাতার নিচে দাঁড়িয়ে
আমরা বেশ
ঘামকলমে এ ওর পিঠে পদ্য লিখবো
****************
জলের ওপর হাসিঢেউ
নাকি আস্ত একটা মুচকিনদী
কী হয়ে উঠবো?
কী হতে পারলে
চড়া পড়বে দামোদরে
যার স্রোতে হারিয়ে গিয়েছে
আমার কবিতার খাতা
****************
এখানে ১৫ ডিগ্রির শীতবাতাসে
সারাদিন সেই মনকেমনের জুঁই গন্ধ -
যা ছড়িয়ে পড়েছে
পৃথিবীর সৃষ্টিইতিহাস নিয়ে
তোমার পুষ্পযোনি থেকে।
আমি সেই মানস সরোবরে
পূণ্যস্নানের আদিম প্রতীক্ষায়
শবরীপাথর।
হে শীত, আমাকে অর্জুন করো।
****************
এ ঘরে আজকাল আর ভ্রমর-টোমর আসেনা
শুধু ছাদপাখার আবর্তনগুনগুন
সঙ্গে ঘুঙুরনাচে দেয়ালক্যালেণ্ডার
কাজ ছিলোনা কিছু,
তাই কাল সারাদিন ধরে
দরজাটায় নীলরঙ লাগিয়েছি
****************
আকাশ সমুদ্র বাতিঘর
পার্কস্ট্রীট চিলেকোঠা এসেমেস্
অনুবাদের পরেও অবিকল
আকাশ সমুদ্র বাতিঘর
পার্কস্ট্রীট চিলেকোঠা এসেমেস্
যতোবার অনুবাদ করতে চেয়েছি তোমাকে
কবিতার খাতা ভাসিয়ে দিয়েছে
এক পাগলিনদী
****************
মাঝেমাঝে আমার সব জানলা দিয়ে
অকস্মাৎ অন্দরে ঢুকে
উজাড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায়,
ভেজা পোষাকের মধ্যে থেকে
জেগে ওঠে স্বচ্ছ শৈশব
সে কি নদী?
রবীন্দ্রনাথ?
নাকি তুমি, বাবা?
নইলে কাকভিজে চৌকাঠে দাঁড়িয়ে
হিমহিমে কাঁপতে কাঁপতে
জিভ কেন মিষ্টিমিষ্টি লাগে?
****************
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন