বুধবার, ২ মার্চ, ২০১৬

মৌ দাসগুপ্ত



রুদ্রাক্ষ
মৌ দাসগুপ্ত


নদীর তীরে শ্মশানফেরত একলা এক মানুষ। ক্লান্ত, বিধ্বস্ত,পরিশ্রান্ত... মুখ ধুয়ে নিচ্ছে বহতী নদীজলে। জল তো নয়, যেন বৃষ্টিলেখা মেয়ের আনন্দাশ্রু! আঁকাবাঁকা দেহলতায় বেখেয়ালী খুশিতে জড়িয়ে ধরছে ঠিকানাভোলা পথের পুরুষালী শরীর। বড় শান্ত পরিবেশ। অদূরে চণ্ডালরূপে স্বয়ং হরিশচন্দ্র একা চিতাদণ্ড হাতে লেলিহান শিখায় উড়িয়ে দিচ্ছে প্রিয়মানুষটির বড়প্রিয় অঙ্গপরশ, মায়াময় চাউনি, সুগন্ধী এলোচুল, উষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়া। ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস এখন অভিমানে পোড়া সুখ। অগ্নিশুদ্ধ সোনার মত খাঁটি। সামনে প্রসারিত অন্তহীন ধূলিপথ, মননে সব হারানোর শূন্যতা! শেষ সহায় সেই বিষ্ণুচরণ, আঙুলে আঙুলে তর্পণমুদ্রা।অনিমেষ দৃষ্টি, অন্তর্মুখী মন, নদীজলে ভেসে যাচ্ছে ভষ্মমায়া অহমিকা। বিস্রস্ত জ্যোৎস্নায় অনিরুদ্ধ শরীরে তিলাঞ্জলি মুক্তি। মৃত্যু তো শেষ নয়। তারপরেও থেকে যায় মায়া-মোহ-মমতাহীন রুদ্রাক্ষ সংসার।…







এবং একুশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন