কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ
পলাশ কুমার পাল
বৃষ্টিরা ক্রমান্বয়ে ঝরে ছবি আঁকছে,
এঁকেই চলেছে দিনরাত....
মনের ঘরে খোলা জানালায়
একটা পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে।
পাহাড়ের পাঁজরের পাথর ফেটে বেরচ্ছে ফসিল-
পুরানো ইতিকথা নদীর মতো যৌবনে ছুটে আসে
ছন্দে নৌকাটাও দোলে,
দুলতে দুলতে হাল ধরা মাঝি
ন্যাকড়ায় বাঁধা পাণ্ডুলিপি খোলে।
নদীর ঢেউ ও নৌকার মিলিত স্পন্দন ছলাত্ ছলাত্....
মরচে ধরা রডে হাত রেখে ইতিহাসে ভাসি,
বিম্বিসারের কারাগারে দাঁড়িয়ে দেখি
বিশ্বশান্তি স্তূপ মুখোমুখি:
মুখোমুখি জানলার পাশে পাহাড়।
ইতিহাস, শুধু ইতিহাস খুলি এই মনে....
জানি, কোনো স্বাক্ষর রাখেনি সে
বা কোনো বইয়ে ধরবে না এই অক্ষর-
তবু উঠান ক্ষয়ে বালি ভেসে যায় বৃষ্টিতে
পাললিক হবে বলে;
বারেবারে আত্মহত্যা শুধু-
তারপরে শত শত শব্দের পোকা ছুটে যায় কবিতার গর্তে
শুধু অন্ধকার, পিঁপড়ের আশ্রয় ও খুশি।
মানুষের পদপৃষ্ঠে মুহূর্তে মৃত্যু আসবে জেনেও
পিঁপড়ে হই!
গর্তের ভিতর থেকে শুনি বৃষ্টির ধ্বনি....
প্রকাশের ব্যস্ততায় ধ্বনিরা ক্রমান্বয়ে এঁকে যায়
স্মৃতি
মৃত্যু
জন্ম
আর কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ।
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন