লিখেই একটি পদ
ব্রতী মুখোপাধ্যায়
লিখেই একটি পদ ভাবো কেমন কেউ যদি শুনতে রাজি হয় দু-এক লাইন
এখনো ঝরনাগুলি পাথরভাঙার ব্রতে মাতোয়ারা নিজের খেয়ালে
এখনো ধ্বনিস্নাত শব্দে শব্দে আলো পড়ছে ছায়া পড়ছে চলায় থামায়
এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল, সোঁদা গন্ধ উঠে আসছে ধুলো থেকে ঘাস থেকে ক্রমশ
কিছু রঙ কিছু রূপ হাসিমুখ, উঁকি দিচ্ছে আনাচেকানাচে, ছুঁয়ে দেখছে এ কেমন বাস
লিখেই একটি পদ ভাবো কেমন কেউ যদি শুনতে রাজি হয় দু-এক লাইন
আকাশভেজানো বৃষ্টি --- চমৎকার কানে বাজছে, ভালো লাগছে – বিদ্যুৎ ডিঙিয়ে গেল
মুহূর্তে মোলায়েম আদুরে বাতাস, মুহূর্তে থামছ তুমি একবার, থামছ একথা ভেবে
কোথাও কল্যাণী নেই, মনোরমা, অপরূপা অথবা ছুটিন --- বর্ষার কবিতায় কেউ নেই এরা ?
তাহলে কি ছেনি হাতে নেবে ? সোনার দোকানে বসে সারাক্ষণ যে বালক কবিতাই লেখে
হো হো শব্দে হেসে উঠবে সে, আর কাগজের নৌকার মতো তোমার ওই লেখা
জলে ভেসে জলে ডুবে বিলক্ষণ কোথায় যে বেহদিশ হয়ে যাবে অতঃপর
সরে এসো তার চেয়ে, দূরে সরে এসো, মায়ার কুহক থেকে, দেখো এইবার
নাচের মুদ্রার মতো হাতের আঙুলগুলি দুলে উঠছে কিনা, দেখো চোখের কাজলে
ভেজা ভেজা আছে কিনা কিছু, দেখো দেখি তাতাথই তাল বলে কিনা পায়ের নূপুর
সরে এসো, সরে এসে দূর থেকে দেখো, সত্যি লাগছে কি গোপন হিয়াটি তার
ভালোবাসিবার মতো, নিদেন ব্যথায় ভরা নেই কোনো কারুকাজ যেরকম একলা প্রদীপ
লিখেই একটি পদ ওইভাবে ভাবো কেন কেউ যদি শুনতে রাজি হয় দু-এক লাইন
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন