অঞ্জলি
অমরেশ দেবনাথ
যখন আমার নিভল বাতি, অহঙ্কারে মিছে মানে; আঁধার রাতে,
ভাঙেনি ভুল চরম দাহে, যখন পৃথিবী কাঁদল একা বিজন ঘরেতে,
তবু আমি ঘুরেছি পথে, কোন্ আশাতে মিছে মানে; অভিমানে,
রাত যে তবে পোহালনা শেষে, অসীম কালোয় ছেয়েছে মেঘেতে!
আনন্দ তবে গেল কোথায়, কোন্ দিশাতে মুখ ফিরিয়ে অহঙ্কারে,
ভিতর আমার পুরেছে ছাইয়ে, কালো ধুয়ায় চরম দহনে, দাবানলে,
একে একে জ্বালিয়ে প্রাণ, সবই গেল আপন নীড়ে গোপন খেয়ালে,
শূন্য পৃথিবী কাঁদছে সেথায়, দু হাত মেলে চোখের পরে অশ্রুরোদনে!
তখনো আমার ভুল ভাঙেনি, শত আঘাতে, প্রবঞ্ছনার বেদনা পুঞ্জে,
দাঁড়িয়ে ছিলেম তোমার দ্বারে, আসবে তবে অভিশাপে কলঙ্কিনী হয়ে,
প্রেম যে তবে পূর্ণ হল তোমারি রূপে নির্মোচনে, আমার ভেলা ছেড়ে,
এসেছে তবে কোন্ সে সুর এমন দাহে কলঙ্ক নিয়ে সকল দাগেতে!
তখন আমার হল পূজা সকল দ্বারে গানের মেলায় মুক্ত হৃদয়ে,
একে একে এসেছে পাখী কত রাগের গোপন তানে নীরব মেলাতে,
তখন আমার রাত পোহালো নূতন ভোরে নব কিরণে আন্দোলনে,
বেজে চলছি তপ্ত দুপুরে তোমারি সুধায় অমল শীতলে; সমীরণে!
সকল মেঘ গেল ভেসে, শুভ্র আকাশে ফুটল অরুণ নব উষাতে,
তখন আবার জ্বলল বাতি, শূন্য প্রাণে অসীম প্রেমে করুণাময়ীতে,
প্রেম যে তবে বাঁধন ছিঁড়ে পেল ভাষা গোপন লয়ে রবে নীরবে,
বাজছে সেথায় তোমারি বাঁশী গোপন সুরে নিবিড় প্রেমে অঞ্জলিতে!
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন