সেতুটি
স্বরূপ সুপান্থ
সেতুটি পড়ে আছে
সেতুটি পড়ে আছে বারবার
সেতুটি নির্বিকার
তার উপর বিরাশিটি গরু পার হচ্ছে
চল্লিশটি ছাগল
আর পাখিরা দোল খাচ্ছে রেলিং বরাবর
সেতুটি লেগে আছে মেয়েটির হাত
পুরুষটির ভাব
আর বিশ্ব-বরাবর আবেগ,
যে-সংযোগ টেনেছিলো মেয়েটিকে
ধরেছিলো পুরুষটিকে
বিরাশিটি গরু হয়ে যায় ছাগল
আর ছাগলগুলো হয়ে যায় চল্লিশ চোর
সেতুটি পেরোলে...
দোলনা অব্যবহৃত, বাতাস এমনি বয়ে যায়
শিশুটি উঠেনা বলে দোলনাটি নড়ে না।
যে মেয়ের চোখ শিশুর দিকে
যে মেয়ের চোখ প্রেমিকের দিকে
সে মেয়ের চোখ পুরুষের দিকে
সে মেয়ের চোখ দোলনার দিকে
যে পুরুষ শোনায় দীর্ঘশ্বাসের গল্প
মেয়েটি তাকেই ভালবাসে
বসে শুনে কল্পচিত্র
একদিন ঢুকে যাবে ঘোটক-ঘোটকীর প্রেমের গল্পে
তাবৎ গল্পে পৃথিবী মর্মর শব্দসংকুল
এর ভেতর টুপ
ডুব
খুব
চলো সন্ধিক্ষণে
প্রেরিত বাচ্চাটির হাত উর্ধাকাশে ঝুলছে
সেটাই এই শ্বাস মেয়েটি পেয়েছিলো
আর গিলেছিলো রক্তের ফোঁটা
একদিন দীর্ঘদিন বাদে।
তারপর ঢেউয়ের উপর চোখ পাড়ি দিলে
যা দেখেছিল
যেন তা সমুদ্র থেকে বিশাল
যেন তা আকাশ থেকে বিস্তর...
কেন কেউ লিখছে না স্তবের গান
মানুষের উৎপত্তি হলো
মেয়েটিও মানুষ হলো
আয় ভিজি — বলে বৃষ্টি এসেছিল যে-সান্নিধ্য নিয়ে
উচ্চারণ প্রসঙ্গে যত ব্যাঘাতই ঘটুক
মানুষ খুব করে একদিন না একদিন বৃষ্টিতে ভিজতে চায়
যেন আকাশ থেকে পড়া শব্দের নামতা
বেশ করে শেখায় গনিত মাটিকে
মেয়েটা মাটিরই সন্তান
একদিন জন্মে অন্যদিন জন্মদানে
সেই ডাইরি পড়ে বুভুক্ষু মানুষের সে কী কান্না
সৃষ্টি প্রকৃতি রূপের, অনাদায়ে বাকী থেকে যায়!
মেয়েটি আস্ত সেতুটি
এত বড় বডি তার
না সামলাতে পেরে ভীমনৃত্য করি
পৃথিবীর উপর
সে মায়া বয়ে গেছে জলে
পরিপুষ্ট ভূমিতে
আমাদের শ্রমের ক্লান্তির ভালবাসার ফসলে
মেয়েটি আলপথ
আমি ভাগ হয়ে যাওয়া জমি
আয় পৃথিবী, কান্নাগুলি বরং শেয়ার করি।
এবং একুশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন