চতুর্থ সংখ্যা রেডি। একটা সম্পাদকীয় লিখব ভেবে বসছি লেখার টেবিলে,
ল্যাপটপের ধাক্কায় হুড়মুড় করে পড়ে গেল কতকগুলো বই। তাড়াতাড়ি সেগুলো তুলতে গিয়ে হঠাৎ
হাতে এলো একটুকরো মলিন হয়ে যাওয়া চিরকুট – অপরিচিত, মুক্তোর মতো হাতের লেখা-
“ কবি তুমি আমার,
সাহিত্য-সরস্বতীর বরপুত্র, সাহিত্য-সরোবরের কানায় কানায় কি সাবলীল তোমার বিচরণ।
তুমি তো কবিতা লেখ না, কবিতাই তোমায় আশ্রয় করে মুক্তির পথ খোঁজে। আমার কতো
অভিমানে, কতো অনুরাগে, বিষণ্ণতায় তুমি ছুঁয়েছো আমায় তোমার কবিতা দিয়ে। আমি তো
পারিনা, ভাবের এমন ছন্দবদ্ধ সমাহারে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে তোমায় ছুঁতে ! নিতান্তই অ-কবি আমি; তবুও তোমার কাব্যচেতনায়
দ্রব করে, জারিত করে তোমার সাত সমুদ্দুর ভালবাসায় নিমজ্জিত করে রাখো –
আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছ দান–
তুমি জান নাই, তুমি জান নাই,
তুমি জান নাই তার মূল্যের পরিমাণ ...
তুমি জান নাই, তুমি জান নাই,
তুমি জান নাই তার মূল্যের পরিমাণ ...
তোমাকে কিছু লিখতে গেলে যে আমাকে ধার করতে হয়... তোমার
কাব্য-সরস্বতী তাঁর এক বিন্দু করুণা বর্ষণ করেও আমাকে সিক্ত করেন না। তাই, তুমিই আমার কবি – তুমি আমারই কবি – একার......”
আরো ক’এক লাইন লেখা ছিল। শেষের দিকটা আর পড়া যায় না। ধূসর হয়ে গেছে।
কিছুতেই মনে করতে পারলাম না, কার উদ্দেশ্যে কার লেখা, আমার কাছেই বা এলো কোথা থেকে...!! শুধু অবাক হয়ে ভাবতে থাকলাম, এটাও কি একটা কবিতা নয়??
এমনই কাব্যময়তায় ডুবে থাকুক ‘এবং একুশ’।
শুভেচ্ছান্তে
সুস্মিতা বসু সিং
এবং একুশ
অসাধারণ সম্পাদকীয়।
উত্তরমুছুনসম্পাদকীয় কখনো কখনো বড্ড নীরস হয় ।
উত্তরমুছুনএ সম্পাদকীয় সেই হিসেবে এক সুন্দর কাব্যিক ব্যতিক্রম